শ্রমিক ছাঁটাইয়ের জেরে টঙ্গীতে পোশাক কারখানা বন্ধ, বিক্ষোভে উত্তাল শ্রমিকরা।

জাতীয় বাংলাদেশ

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় শ্রমিকরা বিক্ষোভে নেমেছেন। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে টঙ্গীর মিলগেট এলাকার যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা এই বিক্ষোভ শুরু করেন।

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির ১১৬ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খলতার অভিযোগ এনে তাঁদের চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ। পরে শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী তাঁদের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কায় গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। শনিবার সকালে অন্যান্য শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। তবে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে দুপুরের পর থেকে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু হয়, যা বিকেলে শ্রমিকরা কারখানা ত্যাগের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখতে পান, কারখানার প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাঁরা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের অভিযোগ, আগে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেই ১১৬ জন শ্রমিককে চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে তাঁদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। আজ সকালে এসে হঠাৎ বন্ধের নোটিশ দেখে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

কারখানার মালিক মো. রাকিব সাজ্জাদ বলেন, ‘শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকরা কারখানায় নাশকতা চালাতে পারেন—এমন আশঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছি।’

গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, যমুনা অ্যাপারেলসে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাঁরা সকালে কাজ করতে এসে বন্ধের নোটিশ দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত রয়েছে এবং শ্রমিক প্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

চাইলে আমি এটা আরেকটু ছোট করে বা সংবাদ শৈলীতে আরও কষে গুছিয়েও দিতে পারি। চাইবেন কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *