যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা চলাকালে ইরান একটি নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে, যা তারা ‘নেতানিয়াহু অপহরণ’ শিরোনামে উপস্থাপন করেছে।

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অপহৃত করার খবর একটি ডিজিটাল প্রচারণা হিসেবে ছড়ানো হয়েছে, যা বাস্তবে সত্য নয়। তবে, এই ঘটনা ডিজিটাল মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতানিয়াহুর অপহরণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্বারা তৈরি।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট জানায়, তেহরানে সরকারপন্থী নেটওয়ার্কে গত সপ্তাহে একটি এআই-নির্মিত ভিডিও প্রচারিত হয়, যেখানে নেতানিয়াহুকে অপহৃত দেখানো হয়েছে। ভিডিওটি একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, যার নাম ‘আনুষ্ঠানিক অতিথি’। চলচ্চিত্রের গল্প অনুযায়ী, নেতানিয়াহু একটি রহস্যময় দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ হন এবং এক হিব্রু ভাষার অনুবাদক বুঝতে পারেন যে, ওই “অতিথি” আসলে নেতানিয়াহু।

এটি এমন একটি সময় প্রচারিত হয়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে পরমাণু আলোচনা চলছে। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ঘোদ্রা স্টুডিওস, যেটি রেডিও ফ্রি ইউরোপের সহযোগী রেডিও ফার্দা দ্বারা ভুয়া কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রেডিও ফার্দা দাবি করেছে যে, ঘোদ্রা স্টুডিও ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সরকারের প্রচারণা চালাতে কাজ করে।

এছাড়া, চলচ্চিত্রটি ইসলামিক বিপ্লবের সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের মালিকানাধীন ‘আম্মার ইয়ার’ নামক একটি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। এটি একটি সরকারি সংস্থা, যা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজ প্রচার করে।

এটি নতুন নয়, এর আগে ইরানি কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুকে অপহরণের হুমকি দিয়েছেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে, ইরানী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর একজন কমান্ডার নেতানিয়াহুকে অপহরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত একটি ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে, যিনি ইরানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে নেতানিয়াহু বা ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *