ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে শুরু থেকেই সোচ্চার হয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত ও বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের পক্ষে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। গাজায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে বরাবরের মতো এবারও স্পষ্টভাবে অবস্থান নিয়েছেন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য সংস্থা ‘ডক্টরস উইদাউট ফ্রন্টিয়ারস’ এক প্রতিবেদনে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতিকে গণকবরের সঙ্গে তুলনা করেছে। তারা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি যারা তাদের সহায়তা করছে, সবার জন্যই গাজা এখন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। জোলি এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন এবং গাজায় চলমান মানবিক সংকটের ব্যাপারে আবারও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এক বিবৃতিতে জোলি ইসরায়েলের স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে চালানো অব্যাহত হামলার কঠোর নিন্দা জানান। তিনি বলেন, সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে এবং মানবিক সহায়তার সব রাস্তাও ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তাঁর ভাষায়, এটি একটি পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ—ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কৌশল।
তিনি মানবিক কর্মী ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার দাবিও তোলেন।
এর আগেও বহুবার ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন জোলি। এক বছর আগেও তিনি বলেছিলেন, গাজা প্রায় দুই দশক ধরে একটি খোলা কারাগারের মতো, আর এখন তা গণকবরে রূপ নিচ্ছে। নিহতদের বড় একটি অংশই শিশু, কিন্তু বিশ্ব নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তিনি অভিযোগ করেন, অনেক দেশের সরকার এই সহিংসতার পেছনে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিচ্ছে এবং খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা থেকে ফিলিস্তিনিদের বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। এটা একটা বড় অপরাধ, যা বিশ্বনেতারাও এড়িয়ে যেতে পারেন না।