অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা বাতিল করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ড. ইউনূসের করা আপিল গ্রহণ করে এই রায় ঘোষণা করে।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে করা এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ড. ইউনূস যে আপিল করেছিলেন, সেটির শুনানি শেষ হওয়ার পর আজ রায়ের দিন ধার্য ছিল। মামলাটি গত বছর ১১ আগস্ট দুদক নিজে থেকেই প্রত্যাহার করে নেয়। তখন ড. ইউনূসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, তারা মামলার আইনগত নিষ্পত্তি চান এবং মামলাটি প্রত্যাহারের বিষয়ে তাদের জানানো হয়নি, যা ইউনূস পছন্দ করেননি।
এর আগে গত বছরের ২৪ জুলাই হাইকোর্টে ড. ইউনূসসহ সাতজনের করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ হয়। পাশাপাশি বিচারিক আদালতকে এক বছরের মধ্যে মামলার কার্যক্রম শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর ইউনূস আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন, যা ২১ অক্টোবর মঞ্জুর হয় এবং পরে মূল আপিল দাখিল করা হয়।
আপিলকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান।
চলতি বছরের ৮ জুলাই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাতজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক এই মামলা করে। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় এবং ১২ জুন ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।