সাংগ্রাই উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে বান্দরবান।

জাতীয় দেশজুড়ে বাংলাদেশ

নববর্ষকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই শুরু হয়েছে বান্দরবানে। উৎসবকে ঘিরে পুরো শহর এখন উৎসবমুখর, রঙে রঙিন ও আনন্দে ভরপুর।

আজ রবিবার সকালে বান্দরবান উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের আয়োজনে রাজার মাঠ থেকে বের হয় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বহু মানুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে অংশ নেন, যা ছিল চোখ ধাঁধানো।

জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন এবং নতুন বছরটি সবার জন্য কল্যাণময় হোক—এই শুভ কামনা জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু তালেব, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি চ নু মং মারমা, সহসভাপতি থুইসিং প্রু লুবুসহ অনেকেই।

শোভাযাত্রা শেষে ইনস্টিটিউটের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় বয়োজ্যেষ্ঠদের পূজা অনুষ্ঠান। সেখানে বিভিন্ন পাড়া ও গ্রামের প্রবীণদের পূজা করা হয় এবং উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়। তরুণ-তরুণীরা এভাবে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পেরে দারুণ আনন্দিত।

উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, সাংগ্রাই উৎসবের অংশ হিসেবে ১৪ এপ্রিল দুপুরে পবিত্র বুদ্ধমূর্তি স্নান ও রাতভর পিঠা তৈরির উৎসব, ১৫ এপ্রিল বিকেলে রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষণ, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষে ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিভিন্ন বিহারে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে মারমা সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব।

উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি চ নু মং মারমা বলেন, ‘সাংগ্রাই আমাদের মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক উৎসব। এ বছর উৎসব উদ্‌যাপনে প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *