“আমি আর নেহা কাক্কারের বোন নই” — সোনুর বিস্ফোরক পোস্ট।

বিনোদন

বলিউডে ভাই-বোনদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা সবসময়ই মিডিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে। কে কার চেয়ে সফল, কে বেশি জনপ্রিয়—এসব বিষয় নিয়ে গুঞ্জন আর আলোচনার শেষ নেই। কিন্তু যখন এই পেশাগত প্রতিযোগিতা ব্যক্তিগত সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে, তখন তা হয়ে ওঠে খুবই সংবেদনশীল।

সম্প্রতি গায়ক আমাল ও আরমান মালিকের পারিবারিক টানাপোড়েন বলিউডে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। জনপ্রিয়তায় আরমানের এগিয়ে থাকা তাদের পরিবারে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল, আর এ জন্য আমাল দায়ী করেছিলেন তাঁদের অভিভাবকদের।

এবার এমনই এক সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা গেল বলিউডের সংগীতজগতে কাক্কার পরিবারে। নেটিজেনদের চমকে দিয়ে এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এক আবেগঘন পোস্টে সোনু কাক্কার জানান, তিনি আর নেহা ও টনি কাক্কারের বোন নন।

পোস্টে সোনু লেখেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আর নেহা কাক্কার ও টনি কাক্কারের বোন নই। দীর্ঘ মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়ে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। আজ খুব ভেঙে পড়েছি।’ তবে কী কারণে এই সম্পর্কের বিচ্ছেদ, বা এর জন্য কাউকে দায়ী করে কিছু বলেননি তিনি।

কাক্কার পরিবারের এই তিন ভাই-বোন একসঙ্গে বহু গান গেয়ে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেছেন। তাঁদের পারিবারিক বন্ধন সবসময় ভক্তদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাই হঠাৎ সোনুর এমন ঘোষণায় হতবাক ভক্তরা। যদিও পরবর্তীতে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন, ততক্ষণে তা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই ঘটনার পর সোনু, নেহা কিংবা টনির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। ফলে সম্পর্কের এই ভাঙনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।

একসময় বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ও শো-তে তিন ভাই-বোন তাঁদের কঠিন সময়ের গল্প শেয়ার করেছিলেন। ‘স্টোরি অব কাক্কার’ নামের এক অনুষ্ঠানে তাঁরা জানিয়েছিলেন, কীভাবে ছোট একটা ঘরে একসঙ্গে থাকা, আর্থিক অনটন—সবকিছু মোকাবিলা করে তারা আজকের অবস্থানে এসেছেন। এমনকি অর্থসংকটের কারণে তাঁদের বাবা-মা নেহাকে জন্ম না দিতে চেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন টনি। শৈশবে তাঁরা মন্দির ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভজন গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

আজ এই আবেগময় অতীতের গল্পকে ছাপিয়ে কাক্কার পরিবারের সম্পর্কের এই ফাটল সত্যিই হৃদয়বিদারক হয়ে উঠেছে ভক্তদের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *