অবশেষে শেরাটন হোটেল ভবনে নিজেদের অংশ বুঝে নিলো ডিএনসিসি

জাতীয়

দীর্ঘ দশ বছর পর রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত শেরাটন হোটেল ভবনে নিজেদের শেয়ারের অংশ বুঝে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দশ বছর ঝুলে থাকা বোরাক-ডিএনসিসি প্রকল্পের শেরাটন হোটেল ভবনের শেয়ার বন্টনের অবসান ঘটল। বিগত সরকারের সময় মেয়রদের অবহেলায় বিরাট অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল ডিএনসিসি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে দেশের সকল খাত। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ দায়িত্ব গ্রহণ করেই ডিএনসিসির রাজস্ব বাড়াতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। প্রশাসকের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দীর্ঘ দশ বছর ঝুঁলে থাকার পর বোরাক রিয়েল এস্টেট-ডিএনসিসির মধ্যে ভবনের শেয়ারের অংশ বুঝে নিতে এক চুক্তি সম্পন্ন হয়।

এই চুক্তি স্বাক্ষরকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘যে কাজ আমি করলাম ঢাকাবাসী মনে রাখবে। এটা একটি ঐতিহাসিক কাজ।’ সিটি করপোরেশন এতদিন যে রাজস্ব হারালো এ দায় কার? এবিষয়ে প্রশাসক বলেন, ‘যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন ব্যর্থতা তাদের। অফিসারদের কোনো দায় থাকে না।’

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, নগর ভবনের শেয়ার নিয়েও ঝামেলা আছে। এটার সমাধানও দ্রুত করা হবে। তাছাড়া সিটি সেন্টারেও অসম শেয়ার বন্টন রয়েছে, সবগুলো একটা একটা করে ধরব। আমার কাজ হচ্ছে রাষ্ট্রের যে পরিমাণ হিস্যা যেখানে রয়েছে যেগুলো থেকে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় সেগুলো আমি আদায় করে নেবো।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালী সিদ্ধান্তের কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন যেমন মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছিল। তেমনি হোটেল শেরাটন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানও বছরের পর বছর লোকসানের মুখে পড়েছিল। এতে দেশের পর্যটন খাতেও বড় ধাক্কা লেগেছিল। হোটেল শেরাটন ছিল বিদেশী পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বিগত সরকারের আমলে একগুঁয়ে সিদ্ধান্তের কারণে দুই পক্ষই ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছিল। অবশেষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ডিএনসিসির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিয়ে হোটেল শেরাটনের ওপর থেকে সকল জটিলতার অবসান ঘটান। এর মধ্য দিয়ে হোটেল শেরাটন পরিপূর্ণভাবে পরিচালনায় আর কোনো বাধা থাকলো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *