ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরার শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। সে আরও দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের শিশু বিভাগের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রাখা হয়েছে শিশুটিকে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানায়, দ্বিতীয়বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার মাধ্যমে শিশুটিকে স্থিতিশীল করা হয়। তবে তার মস্তিষ্ক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না এবং গ্লাসগো কমা স্কেল (জিসিএস) ৩-এ রয়েছে। শিশুটির রক্তচাপ ও অক্সিজেনের মাত্রাও আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।
গতকাল বুধবার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তার সিজিএস লেভেল ৪ থেকে নেমে ৩ হয়েছে। সিএমএইচের চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং শিশুটির সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গতকাল শিশুটি চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয় এবং প্রতিবারই সিপিআর দিয়ে তাকে স্থিতিশীল করা হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরা পৌর সদরে বড় বোনের বাড়িতে শিশুটি ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। পরদিন ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার বোনের শাশুড়ি অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার মা হাসপাতালে পৌঁছান এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন দুপুরেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
৭ মার্চ রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় এবং পরদিন ৮ মার্চ বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় তার বড় বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও ভাশুর রিমান্ডে রয়েছেন।