পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শেখ হাসিনা পরিবার ছাড়াও মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক আটটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এসব অভিযোগপত্র অনুমোদন করা হয়, যা আদালতে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াধীন। এর আগে জানুয়ারির ১২, ১৩ ও ১৪ তারিখে তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা করেছিল দুদক। চার্জশিটে নতুন করে শরীফ আহমেদ ও সালাউদ্দিনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে আছেন—শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
এ ছাড়া জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন—সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য কবির আল আসাদ, সদস্য তন্ময় দাস, সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান।
অভিযোগ অনুযায়ী, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন, যা তাঁদের পাওয়ার যোগ্যতা ছিল না।
এর আগে, গত ২৭ ডিসেম্বর দুদক শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগসহ ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অনুসন্ধানও চালাচ্ছে সংস্থাটি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ১৫ বছর ৭ মাসের শাসন শেষে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।
