হাইকোর্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
আদালতে বিষয়টি তুলে ধরেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। শুনানির সময় তিনি শিশুটির স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান।
এ ঘটনায় শিশুটির মা মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তার মেয়ের স্বামীর সহযোগিতায় শ্বশুর শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাসুর জানতেন। পরবর্তীতে বিষয়টি গোপন রাখতে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
শনিবার (৮ মার্চ) সকালে শিশুটির মা বড় মেয়ে ও স্বামীকে দিয়ে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। দুপুর ৩টার দিকে পুলিশ মামলা রেকর্ড করে। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের ফলে শারীরিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। মামলার আসামির তালিকায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুর রয়েছেন। তারা আগেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন, পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
বুধবার (৫ মার্চ) শিশুটি তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে শিশুটিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে শুক্রবার (৭ মার্চ) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।