বিরাট কোহলি তার অসংখ্য ব্যাটিং রেকর্ডের মাধ্যমে ‘কিং কোহলি’ উপাধি পেয়েছেন। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ব্যাট হাতে কিছুটা ধীর গতিতে থাকায় তার ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু আলোচনা হচ্ছিল। কিছু সমালোচক তার বিদায়ও দেখতে শুরু করেছিলেন। তবে প্রিয় প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে মোকাবেলা করে কোহলি ঠিকই জ্বলে উঠলেন এবং একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন।
কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ভারত সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। আজ, দুবাইতে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ভারত। কোহলির জন্য এই ম্যাচটি বিশেষ, কারণ কোন অঘটন ঘটলে তিনি এই ম্যাচের মাধ্যমেই ওয়ানডেতে ৩০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক অর্জন করবেন, যা হবে তার ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচ।
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা কোহলি ২৯৯টি ওয়ানডে খেলে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৫ রান করেছেন, যা তাকে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় স্থান দিয়েছে। তবে এক জায়গায় তিনি সকলকে ছাপিয়ে গেছেন—ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫১টি, যা শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯টি সেঞ্চুরির রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গত কিছু সময়ে কোহলির ফর্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে তার সতীর্থ লোকেশ রাহুল মনে করেন, কোহলির হাতে এখনো অনেক কিছু করার আছে। তিনি বলেন, “৩০০ ম্যাচ খেলা সত্যিই বিশাল একটি অর্জন। কোহলি ভারতীয় ক্রিকেটের অসাধারণ সেবক। আমি গত ম্যাচে তার সেঞ্চুরি পেয়ে সত্যিই খুশি, এবং মনে করি তার জন্য বড় সেঞ্চুরি করাটা কেবল সময়ের ব্যাপার।” রাহুল আরও বলেন, “কোহলি এবং রোহিত সিনিয়র খেলোয়াড়, এবং বড় ম্যাচে সবাই তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। আশা করি, কোহলির জন্য আরও অনেক সেঞ্চুরি অপেক্ষা করছে।”
কিউই অলরাউন্ডার মাইকেল ব্রেসওয়েলও কোহলির ৩০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলককে একটি বড় অর্জন হিসেবে মনে করছেন। তিনি বলেন, “এটা অবশ্যই বড় একটি অর্জন। ক্যারিয়ারে ৩০০ ম্যাচ খেলা অসাধারণ, বিশেষ করে এক ফরম্যাটে ৩০০ ম্যাচ খেলা।”
যদিও সেমিফাইনাল ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে, তবুও এই ম্যাচটি নিয়মরক্ষার নয়। দুই দলেরই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভারত অবশ্য রোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ শামির চোট নিয়ে খুব চিন্তিত নয়। দলের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাট বলেন, “রোহিত ঠিক আছে, সে এই ধরনের চোট আগে পেয়েছে এবং জানে কিভাবে তা সামলাতে হয়। প্রথম সেমিফাইনালের জন্য ছেলেরা সতেজ থাকুক, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”