মায়ের বিয়ের শাড়িতে মেহজাবীনের বিশেষ দিন
বিয়ের ১৪ দিন পর এসে জানালেন মেহজাবীন চৌধুরী—জীবনের সবচেয়ে বিশেষ দিনে তিনি পরেছিলেন তার মায়ের বিয়ের শাড়ি। এটি শুধুই মায়ের শাড়ি নয়, বরং তার মায়ের বিয়ের স্মৃতি বিজড়িত এক ঐতিহ্যবাহী পোশাক, যা এতদিন ভালোবাসা ও যত্নে তুলে রাখা হয়েছিল বড় মেয়ের জন্য।
তবে কনে নিজের শাড়ির গল্প শেয়ার করলেও বর আদনান আল রাজীবের পরনের শেরওয়ানির কথা জানাননি।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার দিনে, দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রেম পূর্ণতা পায় তাদের শুভ পরিণয়ে। গণমাধ্যমের আলোচনার বাইরে রাখলেও বিয়ের আয়োজন ছিল দৃষ্টিনন্দন ও জমকালো। তারই কিছু ঝলক মিলছে ক্রমশ প্রকাশিত বিয়ের ছবিগুলোতে।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি, মেহজাবীন প্রকাশ করেছেন বিয়ের আরও ২০টি ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে মায়ের শাড়িতে সেজে থাকা এক পরিপূর্ণ, আনন্দময় নববধূ। ছবির সঙ্গে শেয়ার করেছেন আবেগঘন অনুভূতিও।
অভিনেত্রীর ভাষায়,
**“ভালোবাসার দিনে, আদনান এবং আমি আমাদের পরিবারের সদস্য ও কাছের মানুষের উপস্থিতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। আমাদের জীবনের বিশেষ এই দিনটি আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে প্রিয়জনদের ভালোবাসায়।”**
এরপর মায়ের শাড়ির প্রসঙ্গে বলেন,
**“আমার মা তার আকদের দিনে যে শাড়িটি পরেছিলেন, সেটিই তিনি আমাকে উপহার দিয়েছেন। আমার বিশেষ দিনে সেই শাড়ি পরতে পারা—এটাই ছিল মায়ের কাছ থেকে পাওয়া সবচেয়ে মূল্যবান উপহার।”**
প্রসঙ্গত, মেহজাবীন চৌধুরী গত এক দশকের অন্যতম সফল অভিনেত্রী, আর আদনান আল রাজীব দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের একজন।
তাদের প্রেমের গল্পের শুরু ৯ এপ্রিল ২০১২ সালে। মেহজাবীন আগেই জানিয়েছিলেন সে স্মরণীয় দিনের কথা—
“একটি বাঁকা দাঁত আর সুন্দর হাসির ছেলেটি আমার সঙ্গে দেখা করতে এলো। আমি তখন একটি শুটিং হাউসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, সে রাস্তা থেকে হাত নাড়ল। আমরা মাত্র ১৫ মিনিট কথা বললাম, করমর্দন করলাম, আর যখন সে চলে গেল, তখনই বুঝলাম—আমার হৃদয়ের একটি অংশ তার সঙ্গে চলে গেছে। আমি মুহূর্তেই বুঝতে পারলাম, এটি অনিবার্য!
সেই অনিবার্য অনুভূতির পূর্ণতা পেল ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে এসে, এক চিরস্মরণীয় ভালোবাসার দিনে। ❤️
