বেক্সিমকোর কর্মীদের পাওনা পরিশোধে প্রয়োজন হবে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

জাতীয়

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফ হওয়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৩৩,২৩৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন পরিশোধে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় করবে সরকার। আগামী ৯ মার্চ থেকে এই বেতন বিতরণ শুরু হয়ে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন পাবেন এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি জানান, বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানাগুলোর ৩১,৬৬৯ জন শ্রমিক ও ১,৫৬৫ জন কর্মকর্তার বেতন পরিশোধে সরকার অর্থ বিভাগ থেকে ৩২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঋণ হিসেবে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমরা কোনো শ্রমিকের বিরুদ্ধে নই। তাদের চাকরি হারানোর বিষয়টিও আমরা চাই না, কারণ তাদের পরিবার রয়েছে। তবে, বেক্সিমকোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে আমাদের কঠোর হতে হয়।”

এদিকে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই কমিটিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং বেক্সিমকোর রিসিভার থেকে একজন করে প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন। পাশাপাশি বিডা চেয়ারম্যান সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে, শ্রমিক অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে গত ২৪ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনকে আহ্বায়ক করে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *