বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ।

জাতীয় দেশজুড়ে বাংলাদেশ

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটির প্রধান ৪ নেতৃত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টায় বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যনির্বাহী সদস্য রিফাত রশিদ এই কমিটি ঘোষণা করেন।চলতি মাসের ১৬ তারিখে কমিটি হলেও অফিসিয়ালি প্রকাশ করা হয়েছে আজ। সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটিতে আছেন, ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এম.জে.এইচ মঞ্জু। তিনি পালন করবেন আহ্বায়কের দায়িত্ব। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আতিক শাহরিয়া আছেন সদস্যসচিবের দায়িত্বে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এন্ড টেকনোলজির ছাত্র ওমর ফারুক কে মুখ্য সংগঠক এবং ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবিনা ইয়াছমিনকে মুখপাত্র করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিফাত রশিদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীসহ প্রাণ দিয়েছে অসংখ্য শ্রমিক ও জনতা। অঙ্গহানি হয়েছে অর্ধ লক্ষ মানুষের। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার এ লড়াইয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ভূমিকা সম্পর্কে দেশবাসী অবগত। রক্তঝরা জুলাইয়ে আমরা আমাদের অসংখ্য সহপাঠী, ভাই ও বন্ধুকে হারিয়েছি তাদের এই আত্মদান আমাদেরকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছে দেশ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন থাকতে।

রিফাত বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ই জুলাই সকাল সাড়ে ১১ টায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শহিদ আসিফকে প্রথম শহিদ ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিকে সর্বোচ্চ শহিদের ইউনিভার্সিটি হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাইম আবেদিন বলেন, যখন সব স্থানে পুলিশ র‍্যাব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করছিলো তখন আপনার রামপুরা বাড্ডা উত্তরাঞ্চল এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে শেখ হাসিনা রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল এখন তারা কথা বলতে শিখেছে।

প্ল্যাটফর্মটির কেন্দ্রীয় সদস্য জাহিদ আহসান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু আমাদেরকে জুলাইয়েই সহযোগিতা করেনি তারা এর আগেও সহযোগিতা করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা এই আন্দোলনে শুরু হয়নি তারা এর আগেও আমাদেরকে রাজনৈতিক সহযোগিতা করেছে।জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী পেয়েছি। এরমধ্যে অন্যতম হলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীদেরকে রাজনীতিতে ধরে রাখতে হবে। তাদেরকে রাজনীতিতে যুক্ত করা আমাদের সবচেয়ে বড় একটি দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *