সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজন
সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এতে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারমিন বেগম (৩০) মারা যান।
চিকিৎসক জানান, শারমিন বেগম ৪২ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তার শারীরিক অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল এবং বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা হিসেবে আজও একটি অস্ত্রোপচার করা হয়, তবে শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এর আগে, গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলি আক্তার (৩২) মারা যান। এরপর, রবিবার সকালে তার ভাই সুমন রহমান (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। শিউলি ও সুমন মুন্সিগঞ্জের নিমতলী এলাকার আলাউদ্দিনের সন্তান।
এ ঘটনায় দগ্ধ আরও আটজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সূর্য্য বেগম (৫০) ৭ শতাংশ, সোহেল (৩৮) ১০ শতাংশ, সোয়াইদ (৪) ২৭ শতাংশ, সুরাইয়া (৩ মাস) ৯ শতাংশ, মনির হোসেন (৪০) ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিন (১৫) ১৪ শতাংশ, মাহাদী (৭) ১০ শতাংশ এবং জহুরা বেগম (৭০) ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে, আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের গুমাইল এলাকায়। আমজাদ ব্যাপারীর দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন মো. সুমন।
শবে বরাত উপলক্ষে সুমনের মা ও ভাই সোহেলের পরিবার তাদের বাসায় বেড়াতে আসেন। রাতের খাবার শেষে পিঠা তৈরির সময় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।