চেক প্রতারণার মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালত আজ রোববার এই আদেশ দেন। সাকিবের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে। তিনি রাতে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে।
স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় ফখরুল ইসলামের কাছে সাংবাদিকেরা সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ব্যাপারে জানতে চান। ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। এটা আমার সাবজেক্ট নয়।’ দীর্ঘ সময় পর ক্রিকেট বোর্ডে এসেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কত দিন পর এলেন, তিনি নিজেও মনে করতে পারেননি, ‘বহুদিন পর এলাম। আমার ঠিক মনেও নেই। ১৯৯১ সালে বোর্ড সদস্য হয়েছিলাম।’
গত ৫ মাসে যা হয়েছে, এ রকম কঠিন সময় আগে কখনো পার করেননি সাকিব আল হাসান। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তাঁর সংসদ সদস্যের (এমপি) পদ বাতিল হয়ে যায়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কয়েক দিনের মধ্যেই পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় যুক্ত হয় সাকিবের নামও। এরপর প্রতিটা মাসই তাঁর জন্য ঘটনাবহুল। সেপ্টেম্বরে পুঁজিবাজার কারসাজিতে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন। এবার তাঁর নামে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।