বাটা শো-রুমে আগুনের সূত্রপাত গোডাউন থেকে: ফায়ার সার্ভিস

জাতীয়

রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বরে বাটার শো-রুমে লাগা আগুন এরই গোডাউন থেকে ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভানোতে এত বেশি সময়ের কারণ হিসেবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য পোড়া প্রকট গন্ধ ও অতিরিক্ত ধোঁয়াকে দায়ী করছে তারা। তবে এ ঘটনায় দোতলা ভবনটির নিচ তলায় পুড়লেও দোতলার রেস্তোরাঁর ভেতরে তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।

আজ সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে মিরপুর ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মো. শাহজাহান সিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে। তবে শো-রুমের গোডাউন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য পোড়ার গন্ধ ও অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে। তদন্তের পর আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’

বেলা ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশিক্ষা মোড়ের পাশেই দোতলা একটি ভবনের দুই পাশ পুড়ে গেছে। ভবনের নিচেই পড়ে আছে পুড়ে যাওয়া বাটার একটি সাইনবোর্ড। শাটারগুলো লাগানো। সামনে কিছু ভাঙা গ্লাস। ওপরের তলায় গ্লাস দিয়ে পিজ্জাস্তান নামের একটি রেস্তোরাঁ। রেস্তোরাঁর ভেতরে কিছু কালো ধোঁয়ার ছাপ। তবে সবকিছুই অক্ষত রয়েছে। ভবনটির সামনে দিয়ে চলাচলকারী কৌতূহলী লোকজন দাঁড়িয়ে পোড়া ভবনটি দেখছে।

এ সময় ঘটনাস্থলে আসেন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লোকজন ও শো-রুমটির কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ করেন তারা। বাটা শো-রুমের অপারেশন ম্যানেজার শফিকুর রহমান বলেন, ‘রাতেই খবর পেয়ে শো রুমে আসি। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়।’ তবে কত টাকার মালামাল ছিল ও ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি।

দোতলায় পিজ্জাস্তান রেস্তোরাঁর কর্মচারী হৃদয় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত পৌনে ১২টার দিকে নিচ থেকে একজন এসে জানায় নিচে ভবন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এতে আমরা নিচে নেমে যাই। প্রথমে ধোঁয়া নেভানোর জন্য চেষ্টা করি। বাটার লোকজনকে খবর দেই, তারা আসতে আধা ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নেভানোর কাজ করে। বাটার ভেতরে পুরোটাই শুধু ধোঁয়া ছিল।’

রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বরে বাটার শো-রুমে লাগা আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বরে বাটার শো-রুমে লাগা আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎই ভবনের পূর্ব পাশের নিচ তলা থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। পরে সেটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শো রুমের বেশ কিছু মালামাল পুড়ে গেছে।

রাতের এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাসান নামের একজন বলেন, ‘ভবনের পূর্ব পাশের নিচ তলা থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। চামড়া পোড়ার গন্ধ ও ধোঁয়ার কারণে কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না।’

সোহাগ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘রাতে শুনেছি এখানে আগুন লাগছে। সকালে আসলাম দেখতে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *