বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার তিন মাস পর সাকিব আল হাসানের শাস্তির কথা জানায় ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পরীক্ষায় উতরানোর আগপর্যন্ত তাদের কোনো টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবেন না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। প্রায় ২০ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম এমন কোনো কিছুর মুখোমুখি হয়েছেন সাকিব। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা বাংলাদেশের হয়ে খেলায় কোনো সমস্যায় তিনি পড়বেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে!
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও এর ধাক্কা পড়বে। দেশের হয়ে খেলতেও বাধার মুখে পড়বেন তিনি। ‘আইসিসি রেগুলেশন্স ফর দ্য রিভিউ অব বোলার্স রিপোর্টেড উইথ সাসপেক্ট ইলিগ্যাল বোলিং অ্যাকশনস’ আইনে আটকে যাচ্ছেন সাকিব। তবে বিসিবির অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে তার কোনো সমস্যা হবে না।
ইসিবির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘বিসিবির সিদ্ধান্ত অবশ্যই মিডিয়া উইংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে। আইসিসির সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। এটার ফলাফল কি হবে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। আইসিসির নিয়মটা খুবই সাধারণ যে কোনো খেলোয়াড়ের যদি কোথাও কোনো সমস্যা হয়, তাহলে তার দেশের ঘরোয়া লিগ খেলতে পারবে। ঘরোয়া লিগ খেলতে কোনো বাধা নেই।’
এদিকে আইসিসির বোলিং অ্যাকশন আইনেও আশা পাচ্ছেন সাকিব। নীতিমালার ১১.৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ‘১১.১ ও ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে সাসপেন্ড হওয়া সত্ত্বেও খেলোয়াড়কে নিজ দেশের জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন নির্দিষ্ট সীমারেখা বজায় রেখে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় বোলিং চালিয়ে যেতে অনুমতি দিতে পারবে।’
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ভিন্ন কথা বলছে আইনের ১১.৩ ধারা– ‘একটি জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি কোনো বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণ-বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।’
তবে বিষয়টি এখানেই শেষ না, নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হতে সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে নিরপেক্ষ পরীক্ষায় বসতে হবে। এ ছাড়া ঘরোয়া কিংবা বিপিএলের মতো টুর্নামেন্ট খেলার পথে সাকিবের বড় বাধা ‘রাজনীতি’। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে দেশে আসতে পারেননি তিনি। জনরোষের কারণে বিপিএলেও তার খেলা অনিশ্চিত!