পুলিশের বাধায় রামপুরায় থেমে গেছে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির পদযাত্রা। পরে একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিতে ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে শেষ হওয়া কথা ছিল। সেখানে তাঁরা স্মারকলিপি দেবেন।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও ভারতীয় অপপ্রচারের প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন। সংগঠনগুলো হচ্ছে- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
রামপুরা-বাড্ডা-নতুনবাজার সড়কে পুলিশের ব্যারিকেড, যান চলাচল বন্ধরামপুরা-বাড্ডা-নতুনবাজার সড়কে পুলিশের ব্যারিকেড, যান চলাচল বন্ধ
পদযাত্রার আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ প্রতি মুহূর্তে নাশকতার চেষ্টা করছে। মিথ্যা বলে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না।’
ভারতের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আমরা আকাশ-পাতাল-ভূমি সব দিক দিয়ে দেশকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সরঞ্জাম ব্যবহার করতে জানি। আমাদের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্যবাদ প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছে।’
পদযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাঁড়াও জনগণ’, ‘এক জাতি এক দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘ওয়াসিম-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়’, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নয়’, ‘সবার ওপরে দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
রুহুল কবির রিজভীসহ যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা এই পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।