ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করল তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

জাতীয়

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানোর আগ পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বন্ধসহ ক্যাম্পাসে অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক না হলে, আবারও রাস্তা ব্যারিকেড ও রেলপথ অবরোধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় কলেজের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিতুমীর ছাত্র ঐক্যের সদস্য মতিউর রহমান।

মতিউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন চলছে। ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনের পর নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় আমরা আমাদের দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো ধরনের আশ্বাস আমরা পাই নাই।

তিনি বলেন, ঢাবি অধিভুক্ত অন্য ৬টি কলেজ, ঢাবি ও জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা চাইছেন না তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় হোক। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। এটি আমাদের নতুন দাবি নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন হয়ে আসছিল।

তিতুমীর কলেজের ভেতরে জড়ো হয়েছে শিক্ষার্থীরা, বাইরে বিপুল পুলিশ মোতায়েনতিতুমীর কলেজের ভেতরে জড়ো হয়েছে শিক্ষার্থীরা, বাইরে বিপুল পুলিশ মোতায়েন
তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যে পরিবার আহত হয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

আমরা সেখানে যাব এবং প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দেব। আজ আমাদের চারজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। সেই অপেক্ষা আমরা করছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের রূপরেখা গঠন করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করা হলে আমরা আবার আন্দোলনে অংশ নেব। তবে তার আগ পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসেই অবস্থান করবে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ক্যাম্পাসের বাইরে সতর্ক অবস্থায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শিক্ষার্থীদের পাথরে ভেঙেছে ট্রেনের ৩৮টি কাচ, হতে পারে মামলাশিক্ষার্থীদের পাথরে ভেঙেছে ট্রেনের ৩৮টি কাচ, হতে পারে মামলা
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) এ এফ এম তারিক হোসেন খান বলেন, ‘আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। আমরা চাইছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকুক। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরেই যেন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *