চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থীরা পুনর্নিরীক্ষণের ফল জানতে পারবেন। আর যে টেলিটক মোবাইল নম্বর থেকে তারা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন, সেই নম্বরেও ফল পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে ‘অসন্তুষ্ট’ হয়ে এবার ১ লাখ ৯৮ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী ৫ লাখ ৮ হাজার ১১৬টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণ বা রিভিউয়ের আবেদন করেছেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় শিক্ষা বোর্ডগুলো পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করবে।
চলতি বছর সাধারণ ধারার নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৬ জন শিক্ষার্থী ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮০টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার ৭ হাজার ৮১৪টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ২ হাজার ৭১৪ জন।
আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৫ হাজার ৯০৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ভোকেশনাল, বিএম ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষার ৬ হাজার ৮২২টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
অধ্যাপক তপন বলেন, “পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে খাতা নতুন করে দেখা বা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। সব প্রশ্নের বিপরীতে পাওয়া নম্বর ঠিকভাবে যোগ করা হয়েছে কি না তা যাচাই করা হয়।”
প্রতি বছরই এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীরা তা পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ পান। ফল প্রকাশের পরের এক সপ্তাহ নির্ধারিত ফি দিয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনের সুযোগ থাকে। মূল ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
গত ১৫ অক্টোবর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর ১৬ থেকে ২২ অক্টোবর প্রতি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা ফি দিয়ে ‘অসন্তুষ্ট’ শিক্ষার্থীরা খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পেরেছেন। বাংলা, ইংরেজির মত যে বিষয়গুলোতে দুটি পত্র রয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে দুই পত্রের খাতাই পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে হয়েছিল।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা হয়েছে শুধু ওই বিষয়গুলোর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ ছিল। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় যে বিষয়গুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হয়েছে, সে বিষয়গুলোতে ফল পুনর্নিরীক্ষণ করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।
গণ অভ্যুত্থানে সরকার পতন ঘিরে ঘটনাপ্রবাহে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।