বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।
বেলা ১১টার পর আমুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিপ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আমুর পক্ষে তাঁর আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর পশ্চিম ধানমন্ডির এক আত্মীয়র বাসা থেকে আমির হোসেন আমুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানার নীলক্ষেত এলাকায় গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এজাহারনামীয় আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ মন্ত্রী পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের উসকানিতে পুলিশ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে আন্দোলন দমানোর উদ্দেশ্যে হামলা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ সময় অনেকেই গুরুতর আহত হন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আমির হোসেন আমুকে আটকের পর তিনি ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেন। তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন, মূল অপরাধী চক্র শনাক্তকরণ, এ মামলার এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিদের অবস্থান নির্ণয়পূর্বক গ্রেপ্তার ও ধৃত করতে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করার জন্য আমুকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।