একদিনে রেকর্ড ১৩১২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, মৃত্যু ৬

জাতীয়

দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩১২ জন। যা একদিনে এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ৬ অক্টোবর এক হাজার ২২৫ জন আক্রান্ত হয়েছিল। আর চলতি বছরে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৪২০ জনে ও মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৬ জনে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৩১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়ই ৫০৩ জন। ঢাকা বিভাগে ২৮৬ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), বরিশালে ১১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৯ জন, খুলনায় ১৬৯ জন, ময়মনসিংহে ২৮ জন, রাজশাহীতে ৪০ জন ও রংপুরে ১৭ জন, সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ হাজার ৪২০ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ২৮৬ জনের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এবং ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *