সায়েন্সল্যাব অবরোধ: যানজটে নাকাল নগরবাসী

জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কমিশন গঠনের দাবিতে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেতসহ মিরপুর সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাজধানীজুড়েই দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সাত কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন।

সায়েন্সল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ। ছবি: আতিক হাসান শুভ
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ে দড়ি টানিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে। নীলক্ষেত মোড়ের দিকেও একই অবস্থা। সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ। তবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ কিংবা জরুরি সেবার গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।

এদিকে বারবার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করার কারণে জনমনে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও অস্বস্তি। দাবি আদায়ের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ সাধারণ মানুষের।

রাজধানীতে তীব্র জানযট। ছবি: আতিক হাসান শুভ
সাভার বাসের যাত্রী মো. সাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সদরঘাট থেকে বাসে উঠেছি সকালে। যাবো নবীনগর। দুপুর হয়ে গেছে, এখনও সায়েন্সল্যাব মোড়ে বসে আছি। দেড় ঘণ্টা জ্যাম ঠেলে যখন সায়েন্সল্যাবে আসলাম, তখন শুনি শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে।’

এই যাত্রী আরও বলেন, ‘এমনিতেই নগরীতে আগের তুলনায় যানজট বেড়েছে। তার ওপর শিক্ষার্থীদের এমন হুটহাট সড়ক অবরোধ অত্যন্ত বিরক্তিকর। কিছু একটা হলেই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাঁড়াবে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।’

সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেতসহ মিরপুর সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছবি: আতিক হাসান শুভ
শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করায় বাসের অনেক যাত্রীকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। তাদের একজন নিশাত জাহান (৩৬)। এই পথচারী বলেন, ‘১১টার দিকে বংশাল থেকে বাসে উঠেছি। ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে ডাক্তার দেখাবো। কিন্তু শাহবাগের ওখানে এসে আটকে গেছি। পরে রিকশা নিলাম কিন্তু জ্যামের এগোতে পারলাম না। তাই হেঁটেই রওনা দিলাম।’

সড়ক অবরোধের বিষয়ে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের অন্যতম ছাত্র প্রতিনিধি ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারী সাগর বলেন, ‘জনদুর্ভোগের জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু আমরা যে গত সাত বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি, তার সমাধান না করে এবার আর ফিরবো না। বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *