বেঁচে থাকার জন্য আমাকে গাইতেই হবে: ফারিণ

বিনোদন

ছোট ফ্রেমের অভিনেত্রী হিসেবে এখনও সবচেয়ে এগিয়ে আছেন তাসনিয়া ফারিণ। সম্ভাবনা জাগালেন দুই বাংলার সিনেমাতেও। তবে হুট করে সবচেয়ে বেশি চমকে দিলেন গেয়ে। তিনি যে এতো ভালো গান করেন, সেটি টের পেয়ে নাটক ভক্তরা তো থ বনে গেলো!

শুরুটা হারমোনিয়াম বাজিয়ে একটি পত্রিকার অফিসে দেশাত্মবোধক গান দিয়ে। এরপর এক লাফে উঠে গেলেন ‘ইত্যাদি’র মঞ্চে। রাতারাতি সুপার হিট সেই গান। যদিও একই গান বিদেশের মঞ্চে গাইতে গিয়ে দুষ্টু শ্রোতাদের হাতে নাজেহাল হয়েছেন খানিকটা। তবে ফের চমকে দিলেন ফারিণ। তাও আবার ইংরেজিতে!

১৮ অক্টোবর মধ্যরাতের প্রথম প্রহরে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রকাশ করলেন একটি সেল্ফমেড ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে আলো-আঁধারি মেখে বিষণ্নমুখে আপন খেয়ালে অভিনেত্রী গাইছেন ল্যাবরিন্থের ‘জেলাস’ গানটি। একেবারে পুরো গানটি গাইলেন ফারিণ।

ভিডিওটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লো। মিললো প্রশংসার ঢেউ। তবে তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গানটির সঙ্গে ফারিণের লম্বা বার্তা। জানান দিলেন নিজের ভেতর উপলব্ধির কথা।

তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘গান গাওয়া আমার জন্য এক ধরনের থেরাপি। যখনই মন খারাপ থাকে, এই ধরণের ধ্যানে মগ্ন হয়ে যাই।’

অভিনেত্রী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে তার জীবনে অনেক কিছুই ঘটেছে। সেই সব বিশৃঙ্খলার মাঝে তিনি হারিয়ে ফেলেছিলেন তার সবচেয়ে মূল্যবান বন্ধু সংগীতকে। তার ভাষায়, ‘সংগীত আমার সবচেয়ে মূল্যবান বন্ধু। যে সব সময়, ভালো-মন্দে, পাশে ছিল। এই মধ্যরাতের সেশন আবারও মনে করিয়ে দিলো, বেঁচে থাকার জন্য আমাকে গাইতেই হবে। আমি যেন মানুষের মতো চলতে-ফিরতে পারি, তার জন্য এই গানটা দরকার।’

শেষ করলেন অন্যদের প্রতি কঠিন বার্তা দিয়ে। বললেন, ‘জীবন যতই ব্যস্ত হয়ে উঠুক না কেন, সেই জিনিসটাকে হারাতে দিও না, যেটা তোমাকে জীবিত রাখে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *