সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি ডিম আসবে আড়তে

দেশজুড়ে

সরকার নির্ধারিত দামে আগামীকাল থেকে আড়তে সরাসরি ডিম সরবরাহ করবে করপোরেট উৎপাদক ও খামারিরা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান এ কথা বলেন।

তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত দামে বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা, খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। ডিম উৎপাদকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা বাস্তবায়ন করবে কিনা এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা বলে দিয়েছি, এখানে দুটি অংশ আছে। একটি হলো সচেতনতা, আরেকটি ব্যবস্থা। ব্যবস্থা যদি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে আমরা করতে বাধ্য হবো। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য হলো, ভোক্তা পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্যে পণ্য পৌঁছানো। এটা আমাদের প্রধান কাজ, সেটাই আমরা চেষ্টা করছি। আমরা শতভাগ সফল হয়ে গিয়েছি, এটা আজ বলতে পারবো না। এটা কাজের পর বলা যাবে কতভাগ হয়েছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাস করা নৈতিকতার প্রশ্ন! কথা দিয়ে যদি কথা না রাখে, তাহলে তো নৈতিকতা থাকল না।’

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘আগামীকাল থেকে ডিমের উৎপাদক পয়েন্ট যেমন-টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ থেকে তেজগাঁও পাইকারি আড়তে আসতেই ডিম কয়েক হাত বদল হতো। আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, করপোরেট ও খামারিরা সরাসরি গাড়ি দিয়ে আড়তে সরবরাহ করবে। এক সপ্তাহ পরে তারা বড় বড় মার্কেট যেমন- মোহাম্মদপুর টাউনহল, কৃষি মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করবে। অর্থাৎ এই যে মাঝে দুই-তিন হাত বদল হতো এগুলো বাদ দিয়ে আজ তারা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সরাসরি সরকার নির্ধারিত যে যৌক্তিক মূল্য সেই মূল্যে কাওরান বাজারে আগামিকাল থেকে ডিম সরবরাহ করবে। কাওরান বাজার থেকে ভোক্তা পর্যায়ে যেভাবে যায় সেভাবেই যাবে। আশা করি, এভাবে কয়েক হাত বদলের ঘটনা আমরা বন্ধ করে দিতে পারবো।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ কামরুল হাসান বলেন, ‘ডিমের যে দাম নির্ধারণ করা আছে, সেখানে কিন্তু সব খরচ ধরেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মূল্য আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্ধারণ করেছি। আজকেও কিন্তু মিটিংয়ে তারা বলেছে, যে এই মূল্য ঠিক আছে। কিন্তু এই সরবরাহ চ্যানেলের মধ্যে কিছু লোক ঢুকে গেছে, যারা কোনোভাবেই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না, তাদের কোনও ট্রেড লাইসেন্সও নেই। সেই লোকগুলো মাঝখান থেকে ঢুকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ডিমের দাম বাড়ছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে সুফল আমরা পেয়ে যাবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *