চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৫৮ শতাংশ বেশি। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। আজ মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ বছর ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
তিনি আরও বলেন, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ জন। আলিমে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬১৩ জন। ভকেশনাল/বিএস/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৯২২ জন।
অধ্যাপক তপন কুমার জানান, অংশগ্রহণকারী ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ছাত্রের মধ্যে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৯৫ জন ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন। ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন অংশগ্রহণকারী ছাত্রীর মধ্যে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭১৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮০ হাজার ৯৩৩ জন।
এ বছর সব শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি পাস করেছেন। একই সঙ্গে ১৫ হাজার ৯৫৫ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
২০২৩ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ছিলেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। এ বছর জিপিএ-৫-এর সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১।
২০০১ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরাই ফল প্রকাশ করেন।
এবার ১১টি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলোর লিখিত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে বাকি পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।