জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিনটন। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল প্রাইজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জন হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং জিওফ্রে হিনটন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর অধ্যাপক।
নোবেল পুরস্কার সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। হপফিল্ড একটি কাঠামো তৈরি করেছেন যা তথ্য সংরক্ষণ এবং রিকনস্ট্রাক্ট বা ‘পুনর্গঠন’ করতে পারে। হিনটন এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা স্বাধীনভাবে ডেটার বৈশিষ্ট্যগুলো শনাক্ত করতে পারে। বর্তমানে বড় বড় কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
গতকাল সোমবার নোবেল কমিটি ২০২৪ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। এবারে এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী। তাঁরা হলেন—ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। মাইক্রো-আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল (জিনের প্রতিলিপির পর) জিন নিয়ন্ত্রণে মাইক্রো-আরএনএর ভূমিকা আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানীচিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী
এর আগে, ২০২৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান—যুক্তরাষ্ট্রের পিয়েরে অগস্তিনি, জার্মানির ফেরেন্স ক্রাউস এবং সুইডেনের অ্যানে হুইলিয়ে। আলোর স্বল্পতম স্পন্দন তৈরি করে অতি সংক্ষিপ্ত মুহূর্তকে বন্দী করার কৌশল নিয়ে গবেষণা করার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এর আগে ২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জেতেন তিনজন। তাঁরা হলেন অ্যালাইন আসপেক্ট, জন এফ ক্লসার ও আন্তন জেলিঙ্গার। ইনট্যাঙ্গলড ফোটনস, ভায়োলেশন অব বেল ইনইকুয়ালিটিস প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম ইনফরমেশন সায়েন্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের আবিষ্কার কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। তিনজনের মধ্যে বিজ্ঞানী অ্যালাইন আসপেক্ট ফরাসি, জন এফ ক্লসার মার্কিন এবং আন্তন জেলিঙ্গার অস্ট্রিয়ার নাগরিক।