বর্তমানে বিশ্বের সাতটি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম চলছে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট থাকলেই প্রবাসে এনআইডি দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট নাগরিকের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে যদি প্রমাণ হয় তিনি আসলেই বাংলাদেশি নাগরিক, তখনই তিনি এনআইডি পাবেন।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী অধিশাখা) মো. আব্দুল মমিন সরকার এসব কথা বলেন।
অভিযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করার সময় রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য কর্মকর্তাদের কোনো নির্দেশনা ইসির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মমিন সরকার বলেন, প্রবাসে নাগরিকেরা যেসব তথ্য দিয়ে আবেদন করেন, সেগুলো দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে আমাদের কর্মকর্তারা তদন্ত করেন। যদি তাঁদের কাগজপত্র ঠিক থাকে তখনই তাঁকে এনআইডি দেওয়া হয়। কেবল পাসপোর্ট থাকলেই তাঁকে এনআইডি দেওয়া হয় না।
এ সময় ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, ‘বর্তমানে সাতটি দেশে প্রবাসীদের এনআইডি সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেখানে প্রবাসী আনুপাতিক হারে বেশি, সেখানে আস্তে আস্তে চালু করব। শিগগিরই কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় চালু হবে এ সেবা।’
একজনের আঙুলের ছাপ অন্যজনের সঙ্গে মিলে গেলে (ম্যাচ ফাউন্ড) সমাধান পেতে মাঠপর্যায় থেকে ভুক্তভোগীর ইসিতে আসতে হয়, এ বিষয়ে ইসির উদ্যোগ জানতে চাইলে সচিব বলেন, এখন থেকে আর ঢাকায় আসতে হবে না। উপজেলা কার্যালয়েই সমাধান পাওয়া যাবে। বিষয়টি ডিসেন্ট্রালাইজড হয়ে গেছে। মাঠেই সেবা পাবেন।
চলতি বছর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ কমিশনের, কমিশন ছাড়া ইসি সচিবালয় এটি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তবে নিজ উদ্যোগে নাগরিকেরা ইসির মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ে গিয়ে সারা বছর ভোটার হতে পারছেন। ভোটার হতে গিয়ে কোনো নাগরিক যাতে ভোগান্তির মধ্যে না পড়েন, সে বিষয়ে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সব জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিয়ে এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি, নতুন ভোটার নিবন্ধন ও ভোটার স্থানান্তর-সংক্রান্ত অনলাইন সভায় ইসি সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এনআইডি সেবা সহজ করা, জনবান্ধব ও দুর্নীতিমুক্ত করা। উপজেলা অফিসগুলো যাতে সেবাকেন্দ্রে পরিণত হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সেবাপ্রার্থীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না। দুর্নীতি-অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’