গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অব্যাহত রয়েছে নদীভাঙন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় পাওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, জেলার প্রধান নদ-নদী যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ফুলছড়ি স্টেশনে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৬০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদী নিউ ব্রিজ স্টেশনে ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৬৫ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর চকরহিমাপুর স্টেশনে ৩৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুন্দুরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর কাউনিয়া স্টেশন পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
চরখামারজানির বাসিন্দা সোলেমান প্রামাণিক বলেন, ‘নদীতে পানি বাড়লেও তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’ চরের আরেক বাসিন্দা আরিফ মিয়া বলেন, বন্যায় ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি বাড়লেও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো আছে। বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।