বলিউডে একের পর এক নায়ক বিয়ে করে ফেলছেন। প্রত্যেক মাসেই কারও না কারও বিয়ের খবর হইচই বলিপাড়ায়। অন্যদিকে দেখুন, বলিপাড়ার সব বিয়েতে হাজির থাকলেও, সালমান খান বিয়ে থেকে নিজেকে শতদূরে সরিয়ে রেখেছেন! বয়স ৫৮ হলেও, বলিউডের ভাইজানের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের
অন্যদিকে, সালমানের অনুরাগীরা অধীর অপেক্ষায় বসে আছেন, তাঁর বিয়ে দেখার জন্য। সত্য়িই কি বিয়ে করবেন না সালমান? সালমান তাঁর বিয়ে নিয়ে কখনই কিছুই বলেন না। তবে সালমানের বিয়ে করার ওপর আগ্রহ না থাকলেও প্রেমে জড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির বহু নারীর সঙ্গে। সালমানের এই প্রেমের ক্যারিয়ারে একদিন গুঞ্জন ছড়ায়, গোপনে সালমান খানের সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন!
এক সময়ে এই দুই তারকার সম্পর্ক ছিল বলিউডের আলোচনার কেন্দ্রে। ১৯৯৯ সালে ‘হম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার শুটিং থেকে প্রেম শুরু হয়েছিল সালমান ও ঐশ্বরিয়া। এরপরেই খবর রটে যায়, তারকা যুগল নাকি গোপনে বিয়ে সেরেছেন। এমনকি, ঐশ্বরিয়া ধর্মান্তরের কথাও রটে যায় বি-টাউনে।গুঞ্জন ছড়ায় লোনাভালার এক বিলাসবহুল বাংলোতে বসে সালমান ও ঐশ্বরিয়া বিয়ের আসর। উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠ পরিজন ও বন্ধুবান্ধব। তবে এই সম্পর্কে মোটেই সম্মতি ছিল না প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর বাবা-মায়ের। তাই তাঁরা নাকি এই বিয়েতে অনুপস্থিত ছিলেন। বিয়েতেই শেষ নয়। সালমান ও ঐশ্বরিয়া নিউ ইয়র্কে হানিমন করতে গিয়েছিলেন বলেও খবর রটে গিয়েছিল। তবে এই ঘটনাগুলোর সত্যতা কখনোই প্রকাশ্যে আসেনি। গুঞ্জন হিসেবেই থেকে গিয়েছে সালমান ও ঐশ্বরিয়া বিয়ের খবর।
এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে ঐশ্বরিয়াকে প্রশ্ন করা হলে, এই সবটাই মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তিনি বিয়ে করলে, পুরো ইন্ডাস্ট্রি জানতে পারবে। দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী। ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, ‘বিয়েটা হলে গোটা ইন্ডাস্ট্রির কাছে কি খবর থাকত না? খুব ছোট আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রি। আমি এমন মানুষই নই, যে বিয়ের মতো বড় ব্যাপারকে অস্বীকার করব। বিয়ে হলে, পুরো বিশ্বকে গর্বের সঙ্গে আমার বরের সঙ্গে পরিচয় করাতাম। তা ছাড়া বিয়ে করার সময় কোথায়? এই গুজবগুলো সত্যিই হাস্যকর।’
২০০২ সালে সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন ঐশ্বরিয়া ও সালমান। তবে সেই বিচ্ছেদ নিয়েও চর্চা হয়েছিল বিস্তর। বিচ্ছেদের পরে দু’জনের মধ্যে প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়। এর পরে আর কখনও একসঙ্গে কাজ করেননি ঐশ্বরিয়া ও সালমান।