যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সামনাসামনি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে দেড় ঘণ্টার এই বিতর্কে পরস্পরকে বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তবে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির মতে, এবারের বিতর্কে তেমন সুবিধা করতে পারেননি রিপবালিকান প্রার্থী ট্রাম্প। পক্ষান্তরে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস একের পক এক আক্রমণ করে ট্রাম্পকে আত্মরক্ষায় ব্যস্ত রেখেছেন।
‘আজকের রাতের বিতর্ক ট্রাম্পের জন্য বিধ্বংসী ছিল’ বলে মন্তব্য করেছেন সিএনএনের সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালেস। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে জুনের মতো ‘বিধ্বংসী বিতর্কের সাক্ষী’ হবেন, এমনটি ভাবেননি বলে জানান তিনি।মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্পের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ওয়ালেস বলেন, ‘আমি মনে করি, আজকের রাতটি ঠিক ততটাই বিধ্বংসী ছিল।’ওয়ালেস বলেন, ‘কমলা হ্যারিস আমি যা ভাবতে পারি এমন প্রায় প্রতিটি বিষয়েই ঠেকিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি ট্রাম্পকে থামিয়ে দিয়েছেন।’
বিবিসির উত্তর আমেরিকার প্রতিনিধি অ্যান্টনি জার্চার বিতর্ক অনুষ্ঠান থেকে জানান, ৯০ মিনিটের টেলিভিশন বিতর্কে হ্যারিস প্রায়ই সাবেক প্রেসিডেন্টকে নিয়ে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনা নিয়ে আক্রমণ করে ট্রাম্প প্রতিরক্ষায় ব্যস্ত রাখতে চেয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতের বিতর্কে হ্যারিস ট্রাম্পকে বারবার রক্ষণাত্মক ভূমিকায় ঠেলে দেন। তিনি ট্রাম্পকে দুর্বল উল্লেখ করে বলেন, বিদেশি নেতারা ট্রাম্পকে নিয়ে হাসছেন। কমলা আরও বলেন, লোকেরা ‘অবসাদ ও একঘেয়েমিতে’ তার সমাবেশগুলো থেকে তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছিল।
মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন ও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলোতে অনেক আমেরিকানদের অস্বস্তির মধ্যে হ্যারিস এই বিতর্কে অংশ নেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্রাম্প তার স্বভাবসুলভ খোঁচা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে তাঁকে এমন সুযোগ হারানোর জন্য অনুশোচনা করতে হতে পারে।