একটি রাষ্ট্রে বসবাস করলে নিরপেক্ষ থাকা যায় না: মম

বিনোদন

‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমা দিয়ে ২০০৭ সালে শোবিজে পা রাখেন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার খ্যাত তারকা জাকিয়া বারী মম। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক নানান কাজে প্রায়ই দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও চলমান বন্যায়ও বেশ সরব ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন সমসাময়িক প্রসঙ্গে। সেখানে শিল্পীদের রাজনীতি করা প্রসঙ্গেও কথা বলেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, সক্রিয় রাজনীতি করা শিল্পীদের কাজ না।

মম বলেন, একটি রাষ্ট্রে বসবাস করলে নিরপেক্ষ থাকা যায় না। কোনো না কোনো পক্ষের প্রতি সমর্থন থাকেই। এটা স্বাভাবিক, কিন্তু সেটা যেন অন্ধের মতো না হয়। রাজনীতির কারণে শিল্পী অন্ধ হলে পথ দেখাবে কে? শিল্পীদের কাজ শিল্পচর্চা করা। সক্রিয় রাজনীতি শিল্পীদের কাজ নয়। তারা যদি রাজনীতিতে মগ্ন হয়ে পড়েন, তাতে শিল্পচর্চা ব্যাহত হবে। সুবিধা নেওয়ার সংস্কৃতির কারণে কিন্তু ন্যায়কে ন্যায় আর অন্যায়কে অন্যায় বলার শক্তি অনেক ক্ষেত্রে থাকে না।শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তাদের পক্ষে থাকার কারণ হিসেবে অভিনেত্রী বলেন, আমি সব সময় সত্য এবং ন্যায়ের সঙ্গে ছিলাম ও আছি। শিক্ষার্থীদের এ দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। তাই প্রথম থেকেই আমি তাদের সঙ্গে ছিলাম। রাজপথেও নেমেছি। অনেক জীবনের বিনিময়ে আজ নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সবাই মিলে এখন সুন্দর একটা দেশ গড়ব। দেশটাকে সুন্দর করার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক বিচক্ষণ ও মেধাবী, তাদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। তাই আমাদের লক্ষ রাখতে হবে কোনো অপশক্তি যেন এদের নাগালে আসতে না পারে। এক মাসের রক্তঝরা আন্দোলনে আমাদের এ বিজয়।

আন্দোলন চলাকালে অভিনয়শিল্পী সংঘ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন জাকিয়া বারী মম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে থাকার কোনো মানে হয় না, তাই আমি অব্যাহতি নিয়েছি। একেবারেই আমার ব্যক্তিগত একটি সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সংগঠনের কোনো শিল্পীর সঙ্গে আমার খারাপ সম্পর্ক নেই, এখনো সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক আছে। তবে আমি মনে করি, একেকজনের মতামত থাকতেই পারে, ভালোলাগা থাকতেই পারে, অবস্থান ভিন্ন হতে পারে, তবে কারও কাছ থেকে অন্ধত্ব আশা করি না। কোনো কিছুর প্রতি অন্ধত্ব ভালো না। শিল্পী, কবি, লেখকরা দেশের সম্পদ। তাদের সবাই ভালোবাসেন। সেভাবেই তাদের পথচলা ও কাজ করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *