ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজারের বেশি নিহত : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি নিহত এবং চার শতাধিক ছাত্র-জনতা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান।

নূরজাহান বেগম বলেন, ‘অনেকের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে, অনেকে দুই চোখেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। আমেরিকার সেবা নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। যাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে বা চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাদের তালিকা আমরা সেবা ফাউন্ডেশনকে পাঠিয়েছি। তারা বলেছে, যত দ্রুত সম্ভব তারা চিকিৎসার জন্য দেশে চিকিৎসক নিয়ে আসবে। ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও দিনাজপুরেও এ চিকিৎসা দেওয়া হবে।’

বিদেশ থেকে চিকিৎসক টিম আনা প্রসঙ্গে নূরজাহান বেগম বলেন, ‘অনেকে পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অনেকের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে কথা বলছি, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে, যেন সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসকদের টিম নিয়ে আসা যায়। আমরা সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আহত শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যদের দেখতে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সময় আহতদের উন্নত চিকিৎসায় প্রয়োজনে বিদেশ থেকে চিকিৎসক টিম আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নূরজাহান বেগম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তারদের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা নিয়ে কথা বলেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘এখানে পুলিশের অনেক আহত সদস্য চিকিৎসাধীন আছেন। অনেকে পায়ে আঘাত পেয়েছেন। অনেকে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে এবং আমি যতটুকু তাদের কাছ থেকে শুনেছি, তাদের ভালোমতো চিকিৎসা চলছে। এখানে আহত একজন ছাত্র সমন্বয়ক ভর্তি আছেন, তারও চিকিৎসা চলছে। সরকার থেকে বলা হয়েছে, যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায়-দায়িত্ব সরকার নেবে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’

এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দারসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *