জয়ে কোপা আমেরিকার শুরুটা রাঙাতে পারেনি ব্রাজিল। সেলেকাওদের রুখে দিয়েছে কোস্টারিকা। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) গোলশন্যূ ড্র করেছে দুই দল। জার্মানিতে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে গোল মিসের মহড়া দিয়েছে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যদের। দলের সেই হতাশা গ্যালারিতে বসে দেখেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।
প্রথমার্ধে ৭৫ শতাংশ সময় বল ব্রাজিলের দখলে ছিল। আক্রমণে ছিল একচেটিয়া আধিপত্য। তাদের গোল থেকে বিরত রাখতে গিয়ে বল নিয়ে আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ হয়নি কোস্টারিকার। প্রথম অর্ধে গোলমুখে শট নেওয়া তো দূরের কথা; আক্রমণে উঠে একটি শটও নিতে পারেনি কোস্টারিকা! তবুও হতাশা নিয়েই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
দারুণ খেললেও প্রথম ৪৫ মিনিটে গোল পায়নি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। বরং হতাশা বেড়েছে গোল বাতিল হওয়ায় এবং খেলোয়াড়দের একাধিক লক্ষভ্রস্ট শটে। ৩০ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন মার্কুইনহোস। দুই মিনিটেরও বেশি সময় ধরে সেই গোল নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। তৃতীয় মিনিটে ভিএআর প্রযুক্তি গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত দেয় অফসাইডের কারণে।
৪০ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল পাঠিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান পাকুয়েতা। তার বাড়ানো বল বুক দিয়ে আটকে দেন ভার্গাস। যদিও হ্যান্ডবলের জোড়ালো আবেদন করেছিল ব্রাজিল। ম্যাচে পেনাল্টি জন্য এটা ছিল সেলেকাওদের তৃতীয় আবেদন কিন্তু কোনোটিতেই সাড়া দেননি রেফারি। দুই মিনিট বাদে ভিনিসিউস জুনিয়রের ভাসানো ক্রসে লক্ষ্যভ্রস্ট শট নেন পাকুয়েতা।
প্রথমার্ধে এলোমেলো শট নেন ভিনিসিউস এবং রদ্রিগোরাও। দ্বিতীয়ার্ধে পাকুয়েতার শট পোস্টে প্রতিহত হয়। ৭৯ মিনিটে আরানার বুলেট গতির শট রুখে দেন গোলরক্ষক প্যাটট্রিক স্যাকুয়েইরা। ইনজুরি টাইমে স্যাভিও’র শট লক্ষ্যভ্রস্ট হয় অল্পের জন্য। ডি-বক্সে সুযোগ পেলেও বলে পায়ের ছোঁয়া লাগাতে ব্যর্থ হন রদ্রিগো। ব্রাজিল থেকে যায় জয়হীন।