ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

বাংলাদেশ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসহ পশ্চিমা দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিবেচনা করে। ঠিক সেভাবেই ড. ইউনূসের মামলা পরিচালিত হচ্ছে। দেশের যে কোনো নাগরিক আইন ভঙ্গ করলে তার যেমন বিচার হয় ড. ইউনূসেরও সেভাবেই বিচার হচ্ছে। তবে তিনি যেসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন তা অসত্য এবং এসব কথা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অপমানজনক।

বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইউরোপিয়ান দুই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করেছে। সে মামলার ব্যাপারে আমি বলেছি- মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। আদালতে যে মামলা চলমান থাকে সে মামলা সম্পর্কে আইনমন্ত্রী কোনো কথা বলেন না সে ব্যাপারটাও তাদেরকে (ইউরোপিয়ান প্রতিনিধি দল) বলেছি।

আরেকটি বিষয় আমি বলেছি- তার বিরুদ্ধে ট্যাক্স না দেওয়ার মামলা রয়েছে। তার একটি মামলায় তিনি আপিল বিভাগ পর্যন্ত গিয়ে হারার পরে ট্যাক্স দিয়েছেন। অন্যান্য মামলা যেগুলো রয়েছে সেগুলোও ট্যাক্স না দেওয়ার মামলা।

মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শ্রম আইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি আইন, ডেটা প্রটেকশন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের নির্বাচন কমিশন থেকে একটি টিম এসেছিল সেই টিমে রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কি চিন্তা ভাবনা করছি, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং সর্বশেষ এন্টি ডিসস্ক্রিমিনেশন বেল সম্পর্কেও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা ড. ইউনূসের মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল। এসব ব্যাপারেও তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা কবে নাগাদ শ্রম আইন পাস করতে যাচ্ছি এসব তারা জানতে চেয়েছিল। আমি তাদের বলেছি- আন্তর্জাতিক শ্রম আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে যে নালিশ করা হয়েছিল সেই নালিশটার আমরা শেষ চাই। আমি তাদের বলেছি শ্রম আইন নিয়ে আমরা যথেষ্ট কাজ করেছি। শ্রম আইন সংশোধন নিয়েও কাজ করছি। আমার মনে হয় বিষয়টা শেষ করে দেওয়া উচিত। আগামী নভেম্বরে তাদের যে গভর্নিং বডির মিটিং হবে সেখানে আমাদের সমর্থন করার জন্য তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

ড. ইউনূসের বিষয়ে কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের দেশ থেকে অনেকগুলো প্রশ্ন এসেছে সেসব বিষয়গুলো তারা পরিষ্কার হতে চেয়েছিলেন। ড. ইউনূসের ব্যাপারে যেসব মামলা রয়েছে আমি তাদের সেসব বলেছি। বলেছি- তিনি শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন সেখানে মামলা হয়েছে। তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। ১০৮ জন শ্রমিক ব্যক্তিগতভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *