বছরখানেক ধরে শরিফুল ইসলাম চেনাচ্ছেন ভিন্নভাবে। তার বোলিংয়ে আশা খুঁজে পাচ্ছে বাংলাদেশও।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তার ওপর ভরসা থাকবে দলের। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচে পাওয়া চোট অনিশ্চিত করে দিয়েছে তার বিশ্বকাপ খেলা।
তবে দেশ ছাড়ার আগে, বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চের কথাই শুনিয়ে গিয়েছেন শরিফুল। এবারের টুর্নামেন্ট হচ্ছে ২০ দল নিয়ে। প্রতিটি অঞ্চলেরই প্রতিনিধিত্বও থাকছে এবারের আসরে। তাই স্বাভাবিকভাবে দুনিয়ার সবার চোখ থাকবে। এ নিয়ে ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছে শরিফুলেরও। মঙ্গলবার ‘গ্রিন এন্ড রেড স্টোরি’ তে তার ভিডিও প্রকাশ করেছে বিসিবি।
শরিফুল বলেন, ‘বিশ্বকাপটা আসলে দুনিয়ার সবাই দেখে। ওই ক্ষেত্রে সবার একটা মনোযোগ থাকে। তাই আমার মনে হয়, বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার জন্য অন্যান্য সিরিজ থেকে একটা ভিন্ন অনুভূতি কাজ করে। প্রতিটা খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ খেলার। সেটা হোক ক্রিকেট, ফুটবল বা যে কোনো কিছুর। সেখানে আমি যদি বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারি, অন্যরকম পাওয়া হবে। ’
২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতেন শরিফুল। এরপর থেকেই তিনি জাতীয় দলের আশেপাশেই থেকেছেন। কয়েক বছর জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতার কথাও শুনিয়েছেন শরিফুল। একসময়ের স্বপ্নের তারকাদের সতীর্থ হতে পারার রোমাঞ্চও আছে শরিফুলের।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা অনেক বড় একটা পাওয়া। কারণ প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমী বা গ্রামে-গঞ্জে যে যেখানেই খেলুক না কেন, সবার স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের খেলার। তাই জাতীয় দলের একজন সদস্য হতে পেরে এটা আমার জন্য… কী বলব, মুখে বলে বোঝানোর মতো না। ’
‘বিপিএলে তাসকিন ভাইয়ের সঙ্গে খেলেছি, ডিপিএলেও খেলেছি, জাতীয় দলেও খেলেছি। মুস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গেও খেলা হয়। যখন অনেক ছোট ছিলাম, ভাবতাম কবে তাদের সঙ্গে খেলব। এখন খেলছি। এর চেয়ে বড় পাওয়া মানুষের… মানে স্বপ্নের মধ্যে একটা এটা। ’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগেই তিন ফরম্যাটেই অধিনায়ক করা হয়েছে তাকে। শান্তর সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো বলে জানিয়েছেন শরিফুল। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও সমর্থন পাওয়ার কথা বলছেন এই তরুণ পেসার।
তিনি বলেন, ‘(শান্ত) খুব ভালো। স্বাধীনতা দেয়। আর বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ। সবাই উনাকে অনেক পছন্দ করেন। আমরা বোলাররা যদি কখনও কিছু করতে চাই, তখন উনি এটা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখেন, সব অধিনায়কই দেখেন, শান্ত ভাইও দেখেন। তবে শান্ত ভাইয়ের সঙ্গে অনেক দিন ধরে খেলতেছি তাই উনার ব্যবহার বা সবকিছুই ভালো লাগে। ’
‘সত্যি কথা বলতে আমরা দলে খুব কমই সিনিয়র-জুনিয়র দেখি। আমরা সবাই মনে করি একটা পরিবার। বন্ধুর মতো আচরণ সবার। আর রিয়াদ ভাই কিন্তু সবচেয়ে বড়। কিন্তু উনি সবার সঙ্গে ভালো মেশেন। উনি এমনভাবে মেশেন যে মনেই হয় না বয়সের এত পার্থক্য। উনি দলটাকে চাঙা করে রাখেন। মনে হয় যে, আমরা খুব ছোট থেকেই একসঙ্গে খেলছি। ’
এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে শরিফুল বলেন, ‘প্রতিটা বিশ্বকাপে সবারই লক্ষ্য সবশেষ বিশ্বকাপ থেকে ভালো করার। আমারও ইচ্ছা আছে, দলেরও ইচ্ছা আছে ম্যাচ ধরে ধরে জেতার চেষ্টা করব। ’