৬ উইকেটের জয়ে সিরিজ জেতার আরও কাছে বাংলাদেশ

খেলাধুলা

আগের ম্যাচের পুনারাবৃত্তিই হলো যেন। শুরুতে উইকেট তুলে জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেললেও অল্পতে তাদের অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ।

এরপর ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটাররা। শেষ অবধি তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ব্যাটে জয় পান স্বাগতিকরা।

রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে জিম্বাবুয়ে। ওই রান ৯ বল আগে তাড়া করে বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অনেকটা আগের ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংসে। ৪২ রানে দলটি হারিয়ে ফেলে পাঁচ উইকেট। কিছুটা ধীরগতির শুরু করা উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১৫ রান। এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারে ৪ বলে ২ রান করা ওপেনার তাদাওয়ানসে মারুমানেকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। শুরুতে আম্পায়ার আঙুল না তুললেও পরে রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।

দলের স্কোরবোর্ডে আর ১৫ রান যোগ হওয়ার পর আরও এক উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এবার ওপেনার জয়লর্ড গাম্বিকে আউট করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৩০ বলে ১৭ করে তার বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয়টিতেও ব্যর্থ হন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ৮ বলে ৩ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে এক্সট্রা কাভারে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ২ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ভরসা হওয়া ক্লিভে মাদাভানে। আরেক প্রান্তে থাাক ক্রেইগ আরভিনও ১৬ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান।

৪২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জিম্বাবুয়েকে দ্রুতই অলআউট করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো এবারও সেটি করতে পারেনি তারা। যদিও সুযোগ এসেছিল। কিন্তু মাহেদী হাসানের বলে ১ রান করা জনাথন ক্যাম্পবেলের ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি।

এরপর ব্রায়ান বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন অভিষিক্ত ক্যাম্পবেল। ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তারা দুজন। অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে হিসেবে আগেই আলোচনায় থাকা জনাথন অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি ছুতে পারেননি।  ৪ চার ও তিন ছক্কায় ২৪ বলে ৪৫ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন তিনি।

প্রথম ১০ ওভারে কেবল ৩৮ রান করা জিম্বাবুয়ে পরের ১০ ওভারে তোলে ১শ রান। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন বেনেট।

রান তাড়ায় নেমে ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তানজিদ হাসান তামিম। তার বিদায়ের পর জীবন পেয়েও নিজের ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন লিটন দাস। ২৫ বলে ২৩ রান করে লুক জংয়ের বলে ক্যাচ দেন জনাথন ক্যাম্পবেলের হাতে।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও রান করতে পারেননি। ১৫ বলে ১৬ রান করে জংয়ের ওই ওভারেই আউট হন লিটন। তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ওখান থেকে ২৩ বলে ৩১ রানের জুটিতে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নেন জাকের আলি অনিক ও তাওহীদ হৃদয়।

তাদের জুটি ভেঙে যায় ১২ বলে ১৩ রান করে রিচার্ড এনগারাভার বলে জাকের আউট হয়ে গেলে। এরপরও অবশ্য পথ হারায়নি দল। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গী হয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ বলে ৩৭ রান করে হৃদয় এবং ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *