কর্মস্থলে না থাকা চিকিৎসকদের কঠোর হুঁশিয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

বাংলাদেশ

স্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমার নির্দেশ একটাই তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করা। কেন ডাক্তাররা থাকেন না সে বিষয়ে ডিজিসহ মন্ত্রণালয়ের সকলকে বলেছি। ইতোমধ্যে যে সমস্ত জায়গায় ডাক্তার ছিলেন না, তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

চিকিৎসক সংকটের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা এক দিনের সমস্যা নয়, এটা বহুদিনের সমস্যা। এ বিষয়ে আমরা একটা পদক্ষেপ নিয়েছি। স্ট্যান্ডার্ড সেটআপ অনুমোদন হয়ে গেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গরমের কারণে আমি প্রত্যেক সিভিল সার্জনকে বলে দিয়েছি, ইমারজেন্সি রোগীদের জন্য যাতে হাসপাতালে বেড ফাঁকা রাখা হয়।

এর আগে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন। পরে দেশের প্রথম টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এরপর গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও পরিদর্শন করেন শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের কারখানা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. এহসানুল কবির, স্বাচিপ সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মীর সরোয়ার হোসেন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জীবিতেষ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোফাজ্জল হোসেন টুটুল, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইলিয়াস হোসেন, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *