বার্সেলোনাকে ডুবিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

বার্সেলোনাকে ডুবিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

খেলাধুলা
প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) মাঠে প্রথম লেগ জিতে ঘরের মাঠে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনাই। শুরুতে ব্যবধান ধরেও রাখে তারা। কিন্তু ১০ জনের বার্সেলোনা আর পেরে ওঠেনি পিএসজির গতিশীল ফুটবলের সঙ্গে। তাতে ঘুরে দাঁড়ানো দারুণ এক জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ফরাসি জায়ান্টরা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে কিলিয়ান এমবাপ্পে-উসমান ডেম্বেলেদের বিপক্ষে তুলে নিয়েছিল ৩-২ গোলের জয়। বার্সার ঘর অলিম্পিক লুইস কোম্পানি তছনছ করে ওই হারের প্রতিশোধ নিল প্যারিসিয়ানরা। তুলে নিল ৪-১ গোলের জয়। বার্সার ঘর পুড়িয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ গোলের জয়ে উঠে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে।

হাই প্রেসিং ফুটবল খেলার ঘোষণা দিয়েছিলেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। কথা মতো শুরুও করে তার দল। কিন্তু সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে দেওয়া গোলটা করে ফেলে বার্সেলোনা। ম্যাচের ১২ মিনিটে লামিন ইয়ামালের অসাধারণ ক্রসে পা ঠেকিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন রাফিনহা। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ দাঁঁড়ায় ৪-২!

বার্সার ঘরের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে অন্তত তিন গোল করে জিততে হলে অসাধারণ কিছু করতে হতো পিএসজির। ডেম্বেলে-ভিতিনহা-এমবাপ্পেরা করেছেনও তাই। তবে পথটা তৈরি করে দিয়েছেন বার্সার সেন্ট্রাল ব্যাক রোনাল্ড আরাহো।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে ফাঁকা বল নিয়ে বক্সে ঢুকতে যাওয়া পিএসজি রাইট উইঙ্গার বারকোলাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন এই উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার। ম্যাচের লাগাম চলে যায় পিএসজির হাতে। বাকি গল্পটা পিএসজির কর্তৃত্ব, গোল ও কামব্যাকের।

যার শুরু ম্যাচের ৪০ মিনিটের গোলে। বারকোলার জোরের ওপর নেওয়া ক্রস বাঁ-প্রান্তে পেয়ে যান ঘর ছাড়া বার্সা বয় উসমান ডেম্বেলে। জোরের ওপর শটে বল জালে পাঠান চলতি মৌসুমে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে প্যারিসে যাওয়া ফ্রান্সম্যান।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচ ৪-৪ গোলের সমতা করে ফেলে পিএসজি। ৫৪ মিনিটে বক্সের বাহির থেকে দুর্দান্ত এক শটে ম্যাচের সেরা গোলটি করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনহা। এরপর জোড়া গোল করে এমবাপ্পে দলের সেমিফাইনালের টিকিট কেটে ফেলেন। জানিয়ে দেন, রিয়ালে যোগ দিলে এই গোলের লড়াই নিয়মিতই জমবে।

ম্যাচের ৬১ মিনিটে গোল করেন এমবাপ্পে। তার গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। বক্সের ঠিক মুখে উসমান ডেম্বেলেকে ফাউল করেন ধারে বার্সায় খেলা ডিফেন্ডার জোয়াও কানসেলো। রেফারি তাৎক্ষনিক পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে দেন।

ম্যাচের ৮৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপ্পে। গোল খেয়ে পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায় ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালাতে থাকে বার্সা। নিজেদের বক্সের কাছে বল পেয়ে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক তোলে পিএসজি। তা থেকে গোল করেন বিশ্বকাপ জয়ী এমবাপ্পে। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তারা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *