মেট্রোরেল রাত ৯টার পরেও চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্ত বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক। আজ এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পোস্ট দিয়েছে ডিএমটিসিএল।
‘২৭ মার্চ থেকে মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি’ শিরোনামে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে, ১৬ রমজান (বুধবার) থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টায় এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।
বর্তমানে মেট্রোরেল চলাচল করছে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পিক আওয়ারে (সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে। আর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করে।
ডিএমটিসিএল প্রজেক্ট ৬-এর উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরিত ‘বিশেষ নোটে’ বলা হয়, ২৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ থেকে মেট্রো ট্রেন চলাচলের সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন এখন রাত ৮ টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে এবং ট্রেনটি প্রত্যেকটি স্টেশনে থেমে উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ১০ টা ১৪ মিনিটে। এই বর্ধিত সময়ে ১২ মিনিট অফ পিক হেডওয়েতে আরও ১০ বার মেট্রো ট্রেন চলাচল করবে। এতে দৈনিক মেট্রো ট্রেন ১৯৪ বার চলাচল করবে এবং চার লাখ ৪৭ হাজার ৭৫২ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এবং সকাল ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া মেট্রো ট্রেন দুটিতে শুধুমাত্র এমআরটি বা র্যাপিড পাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যায়। রাত ৯ টার পর মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া মেট্রো ট্রেনসমূহে শুধুমাত্র এমআরটি বা র্যাপিড পাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যাবে।
রাত ৮টা ৫০ মিনিটের পর মেট্রোরেল স্টেশনসমূহের সব টিকিট বিক্রয় অফিস এবং টিকিট বিক্রয় মেশিন বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া সব মেট্রোরেল স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সিঙ্গেল জার্নি টিকিট কেনা যাবে। একইসঙ্গে এমআরটি পাস কেনা এবং এমআরটি বা র্যাপিড পাস টপ আপ করা যাবে।
www.dmtcl.gov.bd অথবা মেট্রোরেল স্টেশন হতে আমআরটি পাসের নিবন্ধন ফরম সংগ্রহপূর্বক যথাযথভাবে পূরণ করে এ সময়ে যেকোনো মেট্রোরেল স্টেশন থেকে এমআরটি পাস কেরা যাবে।
এমআরটি পাস অথবা সিঙ্গেল জার্নি টিকিট সম্পর্কিত তথ্যাদি, সিঙ্গেল জার্নি টিকিট বা এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস প্রবেশ গেইটে স্পর্শ করার পর বহির্গমন এলাকায় (পেইড এরিয়া) অবস্থানের সর্বোচ্চ সময়সীমা শুধুমাত্র পবিত্র রমজান মাসের জন্য ৭৫ (পঁচাত্তর) মিনিট। নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অফিসে একশত টাকা জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
পূর্বের ন্যায় পবিত্র রমজানের ইফতারে পানি পান করার জন্য প্রত্যেক যাত্রী মেট্রো ট্রেন ও স্টেশনের পেইড এরিয়োতে শুধুমাত্র ২৫০ মিলি লিটার পানির বোতল বহন করতে পারবেন। তবে, পানি যেন পড়ে না যায় সেই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ব্যবহৃত পানির বোতল অবশ্যই প্ল্যাটফর্ম বা কনকোর্স বা প্রবেশ ও বাহির্গমন গেটে রক্ষিত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে অথবা সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
ইফতারের সময়সূচি প্রতিটি মেট্রো ট্রেনের কোচের ভেতরের গ্যাংওয়ে ডোরের পাশে লাগানো আছে। মেট্রো ট্রেনের কোচের অভ্যন্তরে এলসিডি স্যালুন ডিসপ্লে এবং মেট্রোরেল স্টেশনসমূহের কনকোর্স লেভেলের লিকুয়েড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে (এলএসডি) স্ক্রিনগুলোতেও ইফতারের সময়সূচি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে ইফতারের সময় ঘোষণা করা হচ্ছে।
আরও বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই প্ল্যাটফর্ম, কনকোর্স ও মেট্রো ট্রেনের অভ্যন্তরে কোনো খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার। এ ছাড়া ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।