ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন ও ইউনাইটেড ন্যাশনস ইনফরমেশন সার্ভিসের (ইউএনআইএস) যৌথ আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
ভিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৩২টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, ইউএনআইডিও, আইএইএ, সিটিবিটিও, ইউএনওভি, ইউএনওডিসি, অস্ট্রিয়ান কমিশন ফর ইউনেস্কোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ তিন শতাধিক অতিথি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম সিটিবিটিওর নির্বাহী সচিব ড. রবার্ট ফ্লয়েড, জাতিসংঘের ভিয়েনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবং মাদক ও অপরাধ বিভাগের পরিচালনা বিভাগের পরিচালক ডেনিস থাচাইচাওয়ালিট, জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ইউএনআইডিওর উপ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ুকো ইয়াসুনাগা, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএর সম্মেলন পরিষেবা বিভাগের পরিচালক চেতনা লাখু-ভারবিক, ইউরোপিয়ান অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান নির্বাহী এভেলিন ভেনিঘোফার এবং ইউনেস্কোর অস্ট্রিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. সাবিন হাগকে সঙ্গে নিয়ে ভিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তারা দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত সিয়াম তার বক্তব্যে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগেই ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেবুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তিনি দিবসের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিশ্বব্যাপী ভাষা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং বিকাশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি তার বক্তব্যে ইউনাইটেড ন্যাশনস ইনফরমেশন সার্ভিস (ইউএনআইএস)-সহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং একুশের চেতনা ও মূল্যবোধ ধারণ করার আহ্বান জানান।
এরপর বাংলাদেশ, ভারত, পেরু, বরকিনা ফাসো ও শ্রীলঙ্কার শিল্পীদের অংশগ্রহণে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। পরিশেষে বাহারি বাংলাদেশি খাবারের মাধ্যমে অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।