পাকিস্তান নির্বাচন: ইমরান খান ও নওয়াজ শরিফ দু’জনেরই বিজয় দাবি

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বিজয় দাবি করেছেন দেশটির দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফ ও ইমরান খান।

গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের দল একক দল হিসেবে সর্বাধিক আসন জিতেছে। তবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে বাধা পাওয়া কারাবন্দি ইমরানে খানের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সর্বাধিক আসনে জয় পেয়ে এগিয়ে আছেন।

নওয়াজ শরিফ বলছেন, “তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জোট সরকার গঠনের জন্য অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে কথা বলবে।”২৬৫টি আসনের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি ফলাফল ঘোষণা করার পর নওয়াজ শরিফ এ ঘোষণা দেন।অবশ্য বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন কোনও পক্ষ এককভাবে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্টতা নাও পেতে পারে, যা পাকিস্তানের গভীর মেরুকৃত রাজনৈতিক পরিবেশে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ ও অর্থনৈতিক সংকটকে আরও জটিল করে তুলবে।

২৫০টি আসনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় ৯৯টিতে জিতেছে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর বাইরে আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭১ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩টি আসন। এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরের বাড়ির বাইরে এক জমায়েতে শুক্রবার নওয়াজ শরিফ বলেন, “নির্বাচনের পর দেশের একক বৃহত্তম দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ। এ দেশকে ঘূর্ণিবর্ত থেকে বের করে আনা আমাদের কর্তব্য।”

সঙ্গে জানান, স্বতন্ত্র হোক বা দলীয়, যারাই জয় পেয়েছেন তাদের সম্মান করি। এ সময় একসঙ্গে কাজ করে পাকিস্তানকে পুনর্গঠনের আহ্বানও জানান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, পিটিআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ইমরান খানের একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল বার্তা প্রকাশ করেছে। সেখানে নওয়াজ শরিফের বিজয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন কারাবন্দি এ নেতা। নির্বাচনে জয় লাভের জন্য সমর্থকদের অভিনন্দন জানান তিনি।

ইমরান খান বলেন, “আমি বিশ্বাস করেছিলাম যে আপনারা সবাই ভোট দিতে আসবেন। আপনারা সেই আস্থাকে সম্মান করেছেন। ভোটে আপনাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ সবাইকে হতবাক করেছে। আপনারা ইতিহাস গড়েছেন।”

তিনি আরও জানান, কারচুপি করে নওয়াজ শরিফ জিতেছেন। তার দাবি কেউ মেনে নেবেন না।

গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক এ ক্রিকেট সুপারস্টার। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন, দুর্নীতি ও অনৈসলামিক বিয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খাটছেন তিনি। সূত্র: ডন নিউজ, আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *