খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘খাদ্য মজুতদারদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তারা না শুধরালে আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ রবিবার বেলা ১১টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মানুষের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে- উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি নাই। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে। ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত হয়েছে। শিগগিরই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে। এতে এক ব্যক্তি বারবার চাল নিতে পারবে না।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের বেশি লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পিছনে মিলার, পাইকারী ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট সকলের দায় আছে।’
তিনি বলেন, ‘ফুড গ্রেইন লাইসেন্স স্পটে গিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানন্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপনন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি কেবিনেটে অনুমোদিত হলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরো শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধন চন্দ্র মজুমদারের ওপর যে আস্থা রেখেছেন- তা পূরণে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চাই।
মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রমের খোজ খবর নেন ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন। মজুত-বিরোধী অভিযানকালে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ছুটি বাতিল ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কর্মস্থলে অবস্থান করার আদেশ জারি করতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে টেলিফোনে নির্দেশনা দেন।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা’র সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় পুলিশ সুপার মো. রাশিদুল হক, সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তোফায়েল আহমেদ, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান, নেসকো লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।