সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সারা পৃথিবীই এখন একটা রণক্ষেত্র। আমরা আমাদের ঘর সামলাতে ব্যস্ত। অন্যদেশ নিয়ে ভাবার সময় কই? আটলান্টিকের ওপারে যারা আছে, তারাও এখন তাদের নিজেদের ঘর সামলানো নিয়ে ব্যস্ত। অন্য দেশ নিয়ে তারা মাথা ঘামাবে কখন?’
আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে তার দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেলেও আমরা নির্ভার নই। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দারিদ্র্য দূর করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন আয়োজনে সরকারের ওপর কোনো চাপ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগের কঠিন চাপ আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। সামনে কোনো চাপ এলে সেগুলোও আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’
ভারত ও চীন উভয় দেশই বাংলাদেশকে পাশে টানতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার এ বৃহৎ দেশ দুটির মাঝে ভারসাম্য করে চলতে কতটুকু সক্ষম হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দরকার টাকা। দেশকে এগিয়ে নিতে এবং উন্নয়নের জন্য আমাদের টাকা প্রয়োজন। যারাই টাকা দিয়ে আমাদের উন্নয়নের অভিযাত্রী হবে, তাদের সঙ্গে আমাদের জোরালো সম্পর্ক হবে।’ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারত আমাদের পাশে জোরালোভাবে দাঁড়িয়েছে। এটা খুব জরুরি ছিল, যা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। কারণ, কোনো কোনো বিরোধী দল কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল।’
ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আঞ্চলিক রাজনীতি ও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ভারতের আর আমাদের রাজনীতির মধ্যে অভিন্নতা রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করে উন্নয়নের রাজনীতিই আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য।’