ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে চতুর্থ দফায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী। লোহিত সাগরে ইসরায়েলি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হামলা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের মধ্যেই এ হামলা চালানো হলো। হুতিদের পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশনে একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বন্দরগুলোর দিকে চলা ইসরায়েলি জাহাজে আমরা হামলা অব্যাহত রাখব, মার্কিন ও ব্রিটিশ আগ্রাসী শক্তি যতই আমাদের বিরত রাখার চেষ্টা করুক না কেন।’
আল-মাসিরাহ টিভি ও হুতিদের বার্তা সংস্থা সাবাহ ডটনেট আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চতুর্থ দফার এই হামলায় ইয়েমেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বন্দর শহর হোদেইদা ও তায়েজ নগরী। খবর এএফপির।সিবিএস ও সিএনএনসহ মার্কিন গণমাধ্যমগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইয়েমেনের বেশ কিছু হুতি স্থাপনায় আরেক ধাপ হামলা চালানো হয়েছে।গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে থাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে চলাচল করা বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
লোহিত সাগরে হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের আবারও ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় তুলে আনার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ইয়েমেনে এ হামলা চালানো হয়।গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে প্রায় ৩০টি অবস্থান লক্ষ্য করে ১৫০টিরও বেশি বোমা ফেলে। এ ছাড়া বিমান হামলায় হুতিদের একটি রাডার স্টেশনও আক্রান্ত হয়।গতকাল বুধবার হুতিরা বলেছিল, তারা ইয়েমেন উপকূলের কাছে একটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাজ্যের নৌ-বাণিজ্য পরিচালনাকারী সংস্থা ইউকেএমটিও জানিয়েছিল, এডেন উপসাগরে একটি জাহাজ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যদিও হুতিদের দাবি, তারা যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। তবে ব্রিটিশ নৌ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কোম্পানি আমব্রে জানায়, জাহাজটি মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার ছিল।
ইউকেএমটিও আরও জানায়, হামলায় জাহাজে আগুন ধরে গেলেও পরে তা নিভিয়ে ফেলা হয় এবং পণ্যবাহী জাহাজটি ও এর নাবিকরা নিরাপদে আছে।