ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭০

আন্তর্জাতিক

লিস্তিনি ভূখণ্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত আল-মাগহাজি শরণার্থী শিবিরে গতকাল রোববার (২৪ ডিসেম্বর) শেষ রাতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর এএফপির।

হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, আল-মাগহাজি শরণার্থী শিবিরে চালানো গণহত্যায় শহীদের সংখ্যা ৭০ জন ছাড়িয়ে গেছে। তবে মৃতের এই সংখ্যা এএফপি নিজস্বভাবে যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা এই রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখছে।

এর আগে আল-কুদরা জানিয়েছিলেন, বিমান হামলায় শরণার্থী শিবিরের আবাসিক এলাকা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

এদিকে আরেক ঘটনায় গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলের হামলায় একটি পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে এএফপি এক্ষেত্রে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি।

রোববারের হামলায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বড়দিনের প্রাক্কালে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে যিশু খ্রিষ্টের জন্মস্থান বেথলেহেমে। যিশু খ্রিষ্ট এখানে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতির বার্তা দিয়েছিলেন। অধিকৃত পশ্চিম তীরের এই শহরটিতে বড়দিন উদযাপনের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস শান্তির আহ্বান জানিয়ে সেন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকায় সমাবেশ করেছেন। রোববার রাতের এই সমাবেশে ক্যাথলিক এই নেতা বলেন, ‘আজ রাতে আমাদের হৃদয় পড়ে রয়েছে বেথলেহেমে, যেখানে শান্তির যুবরাজ আরও একবার নিরর্থক যুদ্ধের যুক্তিতে প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন, যেখানে শান্তির অন্বেষনে পৃথিবীতে স্থান করে নিতে দেওয়া হচ্ছে না তাকে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর আগে গাজার বেসামরিক লোকদের রক্ষায় জরুরি প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সব লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবেই।

ইসরায়েলে জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর থেকে গাজায় স্থলপথে অভিযানের পর থেকে যুদ্ধে তাদের ১৫৪ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। এরমধ্যে গত শনিবারের যুদ্ধেই মারা গেছে ১০ জন সৈন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *