সকালের মৃদু শীত। কোনো সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়তো এ সময়ে আড়মোড়া ভেঙে ব্যস্ত স্কুলে রওনা দিতো কিন্তু ভিন্ন চিত্র আসিফের জীবনের। ঘুম তো দূরে থাক এই শীতের সকালে গায়ে জড়ানোর সুযোগ হয়নি কোনো গরম কাপড়। জীবিকার তাগিদে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই হাতে তুলে নিয়েছে হাতুড়ি।
নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে বেড়ে ওঠায় কিছুদিন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হলেও পরে অর্থসংকটে সে পথ বন্ধ হয়ে যায়। এখন কেবলই পেট চালানোর তাড়া। একবেলা ইট না ভাঙ্গলে যে এখন তার না খেয়ে থাকতে হবে!
এমন অনেক আসিফের দেখা মেলে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেইট এলাকায় রেললাইনের ধারে। শুধু কি আসিফ? ২ থেকে ৩ বছরের শিশুরাও মায়ের সাথে বসে শিখছে ইট ভাঙ্গার কাজ। তাদের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পারি প্রতিদিন গড়ে ৩শ থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত আয় করেন তারা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে টানাটানি করে এই সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে চালাতে হয় সংসার।
শিশু অধিকারের সংজ্ঞা কিংবা ব্যাখ্যা সবই তাদের অজানা। জীবনের চাকা ঘুরতেই যেখানে পার হয়ে যায় রাত-দিনের হিসেব সেখানে শিশু অধিকার নিয়ে এত ভাববার সময় কোথায়?
তবে সমাজ এবং রাষ্ট্রের যথাযথ উদ্যোগ পারে এসকল শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করে তাদের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিতে।
ছবি ও লেখক: খালিদুল ইসলাম তানভীর