মাগুরায় বিনামাষ-২ চাষে সাফল্য পেয়েছে কৃষকরা

বাংলাদেশ

 

মাগুরায় বিনামাষ-২ চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত এ জাতের বিনামাস-২ উচ্চফলনশীল ও রোগবালাই সহিষ্ণু হওয়ায় কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন।

বিনামাষ এর ব্যাপক সম্প্রসারণের জন্য নানা কর্মসূচী নিচ্ছে বিনা। সরকারি হিসেবে দেশে প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে অন্তত ২০ লাখ মেট্রিকটন ডাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট পরমানু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার করে দেশের আবহাওয়া উপযোগী উচ্চ ফলনশীল ও জাতের বিনামাষ-২ আবিস্কার করে। যা কৃষকপর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জেলায় এ বছর পরিক্ষামূলক ভাবে প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে বিনামাষ-২ চাষ করা হয়েছে। যেহেতু ডাল জাতীয় খাবার থেকে প্রচুর ভেষজ আমিষ পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাতে উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চ মূল্যের এ জাতের বিনামাষ ডাল চাষে সরকার সহায়তা করছে।

মাগুরা পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনার উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ জানান – ডাল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে। মাগুরা রাজরামপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান আমাদের পতিত জমিতে বিনামাষ-২ চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ২ হাজার টাকা থেকে ২২ শতটাকা তাতে ফসল পাই ২২ হাজার টাকার। এতে আমরা অনেক লাভবান হচ্ছি।
একই গ্রামের কামরুল ইসলাম জানান আগে যে মুগডাল চাষ করে বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৩ মনের বেশী ফসল পেতাম না আর নতুন জাত বিনামাষ-২ চাষে আমরা বিঘাপ্রতি ৬ থেকে সাত মন ফলন পাচ্ছি।এই উপলক্ষে রাজরামপুর গ্রামে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

মাগুরা পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনার উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ সভাপতিত্বেজেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা ডক্টর মোঃ মোশারফ হোসেন, বিনা উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডক্টর শামসুন্নাহার বেগম সহ বিনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্ত উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *