ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এবার আল-শিফা নামে একটি হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ১৬ জন। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এমন ঘটনার কথা জানিয়েছে আলজাজিরা।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার কোনো ভূখণ্ডই নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। সংস্থাটির ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক পরিচালক টমাস হোয়াইট বলেন, ‘যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করার জন্য জাতিসংঘ কিছু করতে পারেনি। খুব স্পষ্ট করে বলা যায়, গাজায় এই মুহূর্তে নিরাপদ কোনো জায়গা নেই।’ খবর বিবিসির।
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বি্রটিশ গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ পঞ্চম সপ্তাহে পৗঁছেছে। এরই মধ্যে ফের সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তেল আবিবে আজ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন নেতানিয়াহু। এর আগের দিনেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেন।
এদিকে, গাজার বৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফার একটি অ্যাম্বুলেন্স কনভয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। হামলার দায়ও স্বীকার করেছে ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। এ ঘটনায় হতবাক হওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ডা. তেদরোস আধানম। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমি বিস্মিত হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী ও অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে সব সময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’
গত ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। তাদের হামলায় এক হাজার ৪০০ এর বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা। তাদের হামলায় অন্তত ৯ হাজার ২২৭ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হয়েছে ২৪ ইসরায়েলি সৈন্য।